স্বদেশ ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন, শেষ দিন পর্যন্তও ইমরান বিশ্বাস করতে পারেননি যে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।
মঙ্গলবার জিও নিউজের ‘আজ শাজেব খানজাদা কি সাথ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এমকিউএম ও বিএপি (ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি) জোট ত্যাগ করলে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে বাপের (বিএপি) ‘বাপ’ (পৃষ্ঠপোষক) আমাদের সাথে থাকছে না।”
ইমরান খান নভেম্বরে সেনাপ্রধান হিসেবে বিশেষ একজনকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, এমন গুঞ্জন সম্পর্কেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এসব লোকজন জেনারেল কামার বাজওয়া ও জেনারেল ফয়েজের বিরুদ্ধে ১৪ বার যেসব ভাষা ব্যবহার করেছেন, তার প্রমাণ তার ফোনে আছে। তবে এখন তারা ক্ষমতায় থাকাদের পা চাটছে। তিনি বলেন, লোকজন আসবে, যাবে। তবে প্রতিষ্ঠান বিস্মৃত হবে না।
উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা শাহবাজ শরিফকে এনেছে ক্রোধে বশবতী হয়ে। শাহবাজের চেয়ে খাজা আসিফ বা আহসান ইকবাল অনেক ভালো হতেন। এখন কী হচ্ছে, তা দেখুন।’ এই পর্যায়ে তিনি ক্রোধে বলেন, জাতীয় পরিষদে বিরোধী নেতা বানানোর জন্য বিশ্বের বৃহত্তম দলবদল হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার টিকে থাকতে পারবে না। দুনিয়ার কোনো শক্তিই একে পতন থেকে রক্ষা করতে পারবে না। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ‘এসব লোক’ তাদের উত্তরসূরিদের হাতে আরো খারাপ অবস্থায় পড়বে।
তিনি বলেন, ইমরান খান এসব লোককে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই দেশে সবকিছুই বিক্রিযোগ্য। তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের গণতন্ত্রকে অভিশাপ দেই, যেখানে সবচেয়ে বড় চোর হন প্রধানমন্ত্রী আর একটি ফোন চুরির দায়ে কাউকে জেলে যেতে হয়।’
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল